দেশে প্রায় ৩০-৪০টি ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক পিসি অাক্রান্ত হবার খবর পাওয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশের কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে এর আক্রমণ হয়েছে। প্রতিষ্ঠান গুলোর নাম প্রকাশ করতে পারছি না কেননা সে তথ্যটা পাওয়া যায় নি।
অনেকেই ভাবছেন অ্যান্টিভাইরাস কম্পিউটারে দেয়া আছে সমস্যা নাই। কিন্তু অ্যান্টিভাইরাস দিয়ে এটা আটকানো যাবে না। কম্পিউটারের নিরাপত্তা ত্রুটি কাজে লাগিয়ে এটি ছড়াচ্ছে।
এটি ম্যালওয়ারের মাধ্যমে ছড়াচ্ছে। এটিকে বলা হচ্ছে রানসমওয়্যার। সহজ কথায় ঝুঁকিপূর্ণ লিংকের সম্পৃক্তায় এই সমস্যা হচ্ছে। মেইলে অপরিচিত কোথাও থেকে আসা লিংকে ক্লিক করলে সেখানে যদি অর্থ দাবি করে তাহলে তাকেই বলা হচ্ছে রানসমওয়্যার। যারা উইন্ডোজ এক্সপি ব্যবহার করছেন তারা একটু বেশি ঝুকিতে আছেন বলে বিশেষজ্ঞ মারফত জানা গেছে। যদিও এটি কোন হ্যাক নয়।
এখন পর্যন্ত যা জানা গেছে:
১. ১৫০টি দেশে তিন লাখ পিসি আক্রান্ত হয়েছে।
২. মাইক্রোসফট ও রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রকে দুষছে।
৩. গবেষকেদের সন্দেহের তির উত্তর কোরিয়ার ল্যাজারাস গ্রুপের দিকে।
৪. ওয়ানাক্রাই র্যানসমওয়্যারটির নতুন সংস্করণ এলেও তার প্রভাব কম।
৫. আক্রমণের দ্বিতীয় ধাপ এখনো শুরু হয়নি।
৬. এই আক্রমণ ঘটেছে ফিশিং মেইল (প্রতারণামূলক মেইল) থেকে।
৭. এই ম্যালওয়্যার থেকে সুরক্ষায় তথ্য ব্যাকআপ রাখা ও প্যাঁচ হালনাগাদ করতে হবে।
ইউরোপের নিরাপত্তা সংস্থা ইউরোপোল বলছে, গত শুক্রবার সারা পৃথিবীতে হ্যাকাররা যে সাইবার আক্রমণ চালিয়েছে, তাতে ১৫০টি দেশের ২ লক্ষ কম্পিউটার আক্রান্ত হয়েছে। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, আরো আক্রমণ হতে পারে, এবং সেগুলো হয়তো ঠেকানো সম্ভব হবে না। তাই সবার জন্য পরামর্শ হলো কোনকিছু ডাউনলোড করার পূর্বে উৎস সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত হয়ে নিন।অপরিচিত কোন লিংকে প্রবেশ করবেন না উইনডোজ সফটওয়্যারে সমস্যা থাকলে দ্রুত ঠিক করে নিন। এছাড়াও বিস্তারিত তথ্য বা সহযোগিতা নিতে আপনি যোগাযোগ করতে পারেন বাংলাদেশের সাইবার ইমারজেন্সি রেসপন্স টিম (সার্চ) এর ওয়েবসাইট CIRT.GOV.BD এ। নিজে সচেতন থাকুন অন্যকে সচেতন করুন।