নওগাঁর বানভাসিদের পাশে দাঁড়ান….

আমরা অবগত আছি নওগাঁর বিভিন্ন উপজেলার গ্রাম মহল্লা একে একে প্লাবিত হচ্ছে। বানভাসি গ্রামের চিত্র শোচনীয়। নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে বানভাসি মানুষেরা। আমার মনে হয় প্রশাসনই সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখতে পারে। একটা কমিটি হতে পারে জেলা প্রশাসক মহোদয়কে আহবায়ক করে। যাতে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয় দেখবেন জেলা সিভিল সার্জন। সিভিল সার্জনের অধিনের প্রত্যেক উপজেলাতে বন্যায় ক্রান্তিকালীন সেবা প্রদানে হেল্প ডেক্স স্থাপন করা যেতে পারে। বলতে পারেন হাসপাতাল তো আছেই কিন্তু এক্ষেত্রে চিকিৎসাসেবাটা অনাবাসিক ও ভ্রাম্যমান হতে পারে। সেই সাথে উপজেলাগুলোতে নির্বাহী কর্মকর্তার অধিনে ও তত্বাবধানে সকল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বারকে নিয়ে একটা কমিটি করা যেতে পারে। যেখানে এই কমিটির কাজ হবে বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বাঁধরক্ষার কাজ করা। সেই সাথে সকল জেলা/উপজেলার রোভার স্কাউটদের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য এলাকাভিত্তির কাজে লাগানো যেতে পারে (জানামতে রোভাররা এ কাজ শুরু করেছে)। সেইসাথে জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে এলাকাভিত্তিক ত্রাণ বিতরণ ও সচেতনতা বৃদ্ধিও জন্য কাজ করা উচিত। সামাজিক সংগঠন গুলো ভালো মানসিকতা প্রকাশের সময় এসেছে।

সামাজিক সংগঠন থেকে এলাকাভিত্তিক সাধ্যমত সহযোগিতা করা যেতে পারে। সেটা ত্রাণ না হলেও সচেতনতা বৃদ্ধি হতে পারে।
সেক্ষেত্রে-
*বন্যাকালীন ও বন্যা পরবর্তী সময়ে করনীয়
*সাপে কামড়ালে করণীয়
*শিশুর ডায়রিয়া হলে করণীয়
*পানিবাহিত রোগ হতে সচেতনতা
* বন্যাকালীন খাবার সংগ্রহ
* বন্যাকালীন প্রয়োজনীয় ঔষুধ সংগ্রহ
*কৃমি থেকে বাঁচার উপায়
সহ বিবিধ বিষয়ে সচেতনতার কাজ করা যেতে পারে। সর্বোপরি সবার স্ব-স্ব অবস্থান থেকে বানভাসি মানুষদের পাশে দাঁড়াতে হবে। সবাইকে সংগঠিত হতে হবে নচেৎ এতোবড়ো সংকট মোকাবেলা করা সম্ভবপর নয়।

মো. আরমান হোসেন
সিনিয়র রোভার মেট প্রতিনিধি
নওগাঁ জেলা রোভার
[email protected]

Add a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *