সুস্থ থাকতে নিয়মিত হাতধোয়ার অভ্যাস গড়ুন-আলোর সন্ধানে
|আজ বিশ্ব হাতধোয়া দিবস।অসুস্থতা ও রোগ সংক্রমণ এড়ানোর সবচেয়ে ভালো একটা উপায় হল, হাত ধোয়া। সর্দিকাশি হওয়ার প্রধান কারণও হাতে জীবাণু থাকা অবস্থায় নাক বা চোখ ঘষা। জীবাণুর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তাই আমাদের নিয়মিত হাতধোয়ার অভ্যাস গড়া উচিত।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে বিভিন্ন মারাত্মক রোগের সংক্রমণও এড়ানো যায়(যেমন: নিউমোনিয়া, ডায়েরিয়া)। এই ধরনের রোগের কারণে প্রতি বছর কুড়ি লক্ষেরও বেশি শিশু মারা যায়, যাদের বয়স পাঁচ বছরের নীচে।
হাত ধোয়ার মতো সাধারণ অভ্যাস গড়ে তোলার মাধ্যমে মারাত্মক ইবোলা ভাইরাস সংক্রমণের হার কমানো যেতে পারে। নির্দিষ্ট কিছু সময়ে হাত ধোয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
হাত ধোয়া উচিত:
• টয়লেট ব্যবহার করার পরে।
• বাচ্চাদের ডায়াপার বদলানোর পর অথবা তাদের টয়লেট করানোর পরে।
• ক্ষতস্থান অথবা কাটা জায়গা পরিষ্কার করে ওষুধ লাগানোর আগে এবং পরে।
• কোনো অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে যাওয়ার আগে এবং পরে।
• খাবার প্রস্তুত করার, তা পরিবেশন করার অথবা খাওয়ার আগে।
• হাঁচি দেওয়ার, কাশি দেওয়ার এবং নাক ঝাড়ার পরে।
• কোনো পশুর গায়ে হাত দেওয়ার অথবা তাদের মল-মূত্র পরিষ্কার করার পরে।
• আবর্জনা পরিষ্কার করার পরে।
হাতধোয়ার একটা নিয়ম রয়েছে যা সঠিকভােবে জানা জরুরী। দেখা গিয়েছে, পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করে এমন ব্যক্তিদের মধ্যে অধিকাংশরই পরে হাত ধোয়ার প্রবণতা কম। ধোয়ার অভ্যাস থাকলেও অনেকেই সঠিকভাবে ধোয়ার পদ্ধতি সম্পর্কে জানেন না।
যেভাবে হাত ধোয়া উচিত?
• পরিষ্কার জলের নীচে হাত ভেজান এবং সাবান লাগান।
• দু-হাত ঘষে ফেনা তৈরি করুন ও সেইসঙ্গে অবশ্যই নখ, বৃদ্ধাঙ্গুল, হাতের পিছন দিক এবং আঙুলের মাঝের জায়গা পরিষ্কার করুন।
• অন্ততপক্ষে ২০ সেকেন্ড ধরে হাত ঘষুন।
• পরিষ্কার জলের নীচে হাত ধোন।
• কোনো পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে হাত মুছুন।
যদিও এই বিষয়গুলো খুবই সাধারণ কিন্তু এগুলো অসুস্থতার হাত থেকে রক্ষা করার এবং জীবন বাঁচানোর ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকরী।
জনসচেতনতায়: আলোর সন্ধানে