নওগাঁয় আদিবাসী স্কুলে খেলাধূলার উপকরণ বিতরণ করলো আলোর সন্ধানে নওগাঁ
|নওগাঁ জেলাধীন মহাদেবপুর উপজেলাধীন বড় মহেশপুর আদিবাসী বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খেলাধূলার উপকরণ বিতরণ করেছে আলোর সন্ধানে নওগাঁ। নওগাঁর সমাজসেবামূলক ছাত্র সংগঠন আলোর সন্ধানে’র উদ্যোগে ১৬ মার্চ বেলা ১১টায় খেলার উপকরণ বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। আলোর সন্ধানে নওগাঁর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মো. আরমান হোসেন এর সভাপতিত্বে খেলাধূলার উপকরণ বিতরণ কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন নওগাঁর নিরাপদ প্রবীণ নিবাস “বেলা শেষে” র প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক তসলিমা ফেরদৌস, আলোর সন্ধানে নওগাঁর সহ-সভাপতি মো. সুলতান আহমেদ, আলোর সন্ধানে নওগাঁর সম্পাদক মো. সোহেল রানা, আলোর সন্ধানে সান্তাহার শাখার সম্পাদক মো. আশিক হোসেন, সদস্য শহিদুর রহমান, মো. সবুজ হোসেন, রোকেয়া সমুনা এবং প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক হীরা লাল পাহান, সুশীল চন্দ্র পাহান, সুনীতি রাণী মন্ডল, রুবি রাণী প্রামনিক সহ অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
১৯৯২ সালে শুরু হওয়া এই প্রতিষ্ঠানটি আদিবাসীদের মাঝে শিক্ষা আলো ছড়িয়ে দেয়ার ঐকান্তিক প্রয়াসে সৃষ্টি। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির সরকারের দৃষ্টিতে না আসায় অবহেলিত। স্থানীয় আদিবাসী মুনিয়া রাজপুত এর দানকৃত জমিতে মাটি দিয়ে তৈরী করা হয় বড় মহেশপুর বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সর্বমোট ১৫০ জন শিক্ষার্থী শিক্ষা গ্রহন করে। অনুপ্রেরণার সেই শূরু থেকে ৩৭৫/- মাসিক বেতনে শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা আলো জ্বালানোর কাজ করে চলেছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকরা। ২০০৯ সালে সুহৃদ হীরা লাল পাহান ও সুশীল চন্দ্র পাহান নিজের জমি বন্ধক এবং সুনীতি রাণী মন্ডল ব্যক্তিগত পারিবারিক অলংকার বিক্রি করে স্কুলের জন্য জমি ক্রয় করেন। সম্প্রতি আলোর সন্ধানে প্রতিষ্ঠানটির ছাউনির জন্য ২ ব্যান্ডেল টিন এর ব্যবস্থা করে। এর পর বড় মহেশপুর আদিবাসী বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আদিবাসী শিক্ষার্থীদের নওগাঁর ছাত্র সংগঠন আলোর সন্ধানে খেলাধূলার উপকরণ প্রদান করে। আলোর সন্ধানের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মো. আরমান হোসেন বলেন, “শিশুদের শারীরিক, মানসিক, বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে খেলাধূলার বিকল্প নেই তাই শিক্ষার পাশাপাশি আলোর সন্ধানে আদিবাসী শিক্ষার্থীদের পাশে খেলাধূলার উপকরণ তুলে দেয়ার প্রয়াস করেছে।”
আদিবাসী সমাজের মানুষেরা অবহেলা নিপীড়নে প্রতিনিয়ত পিষ্ট হয়। শিক্ষার আলো না থাকায় শোষণ ও বঞ্চনার শিকার এই মানুষেরা নিজেদের অধিকার সম্পর্কে অজ্ঞাত থেকে যায়। এই অন্ধকারাচ্ছন্ন সমাজকে আলোকিত করতে কিছু মানুষের জন্ম হয় যারা যুগে যুগে অধিকার সম্পর্কে মানুষদের সচেতন করে চলেছেন। সরকারের উচিত প্রতিষ্ঠানটি আশু সরকারিকরণের মাধ্যমে আদিবাসী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা আলো ছড়িয়ে দেয়ার পদক্ষেপ গ্রহন করা।
মো. আরমান হোসেন
প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক
আলোর সন্ধানে নওগাঁ