আলোকিত তরুন প্রজন্মরাই পারে সৃজনশীল নানা কাজের মাধ্যমে নতুন সমাজে আলো দেখাতে। আর তাই সৃজনশীল মানসিকতা ও সুন্দরের সাথে থাকার প্রত্যয় নিয়ে দুঃস্থদের পাশে দাঁড়িয়েছে আলোর সন্ধানে। আলোর সন্ধানে’র প্রতিষ্ঠাতা মো. আরমান হোসেন এর প্রয়াসে “শুভ শক্তির জয় হোক” এই স্লোগানে নিরলস কর্ম উদ্দীপনায়, ঐকান্তিক চেষ্টা, ভালোবাসা ও দক্ষতার দ্বারা সংগঠনটি পরিচালিত হচ্ছে।
অরাজনৈতিক ও সেবামূলক সংগঠনটির কাজ শুরু হয়েছিলো শোকার্ত একজন মানুষকে কাফনের কাপড় কিনে দেয়ার মাধ্যমে। শুভ শক্তির সম্মিলিত প্রয়াসে যিনি অত্যন্ত মেধার সাথে পরিচালিত করে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন সমাজসেবামূলক কার্যক্রম। সকল সদস্যদের নিয়মিত চাঁদায় প্রতিনিয়িত মেধাবী অভাবগ্রস্থ শিক্ষার্থীদের সহযোগিতার হাত দৃঢ় করেছেন।
যাঁর অদম্য মনোবলে পরিচালিত করেছেন রক্তদান কর্মসূচী, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা,কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা, বির্তক প্রতিযোগিতা, রচনা প্রতিযোগিতা, সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের ফল উৎসব, চাকুরী বিষয়ক পত্রিকার স্ট্যান্ড, দুস্থদের মাঝে সেমাই চিনি বিরতণ, মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ও খেলাধূলার উপকরণ সরবরাহ, ডিজিটাল শিক্ষা পদ্ধতি বাস্তবায়ন, উপস্থাপনা বিষয়ক কর্মশালা, অঞ্চল ভিত্তিক ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ, পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান, শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার খরচ বহন, টিন বিতরণ, যুবদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, শীতার্তদের শীতবস্ত্র বিতরণ, মেধাবী শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার খরচ বহন, প্রতিবন্ধি শিশুকে হুইল চেয়ার প্রদান, যুব দিবস উদযাপন, হাতধোয়া দিবস উদযাপন সহ নানাবিধ কাজ ।
সমাজের কল্যানে নিঃশেষে বিলিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে তিনি খুঁজে পান পরম সুখ, অনির্বচনীয় আনন্দ ও অপরিসীম পরিতৃপ্তি।
আলোর সন্ধানে প্রতিষ্ঠানটিকে তিনি মেধা ও দক্ষতার সাথে পরিচালিত করে নওগাঁ সদর, বদলগাছী, সাপাহার, মান্দা, রানীনগর, মহাদেবপুর, আত্রাই, পত্নীতলা, সান্তাহার, বাগমারা শাখা বিস্তারের মাধ্যমে যিনি বুনে চলেছেন আলোর বীজ আর দিয়ে চলেছেন আলোর সন্ধান।
পড়াশোনার পাশাপাশি যিনি কাজের প্রতি নিষ্ঠা ও দায়িত্বশীলতার পরিচয়ে সমাজ সচেতনতামূলক প্রতিষ্ঠানটিকে উত্তরোত্তর এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আগামী দিনগুলিতে ও আলোর সন্ধানে মো. আরমান হোসেন এর পরিচালনায় এগিয়ে যাবে ও সফলতা লাভ করবে এই দৃঢ় প্রত্যাশায় শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
গ্রন্থনায়:
উপদেষ্টা
আলোর সন্ধানে
ও
সহকারী শিক্ষক
মির্জা পুর কে.সি উচ্চ বিদ্যালয়