“মা তোমাকে অনেক ভালবাসি”
|“মা” শব্দটির চেয়ে অধিক শ্রুতিমধুর ও প্রিয় শব্দ পৃথিবীতে আর দ্বিতীয়টি আছে কিনা আমার জানা নেই। বড় হয়ে ওঠার সাথে সাথে মা কে ঘিরে জমা হয় ভালবাসা, অভিমান আর দুষ্টুমির শত শত গল্প। সঙ্কটকালে কেবলই মনে হয় যদি সব কিছু ছেড়ে মা’র স্নেহমাখা আর কোমল ঐ কোলে মুখ লুকাতে পারতাম, তবে পৃথিবীর কোন কষ্টই আমাকে স্পর্শ করতে পারত না। সেই শিশুকাল থেকে অদ্যবধি আমাকে তুমি তোমার স্নেহমাখা বুকে আগলিয়ে রেখেছ। আমার খবর প্রতিদিন জানতে না পারলে তোমার নাকি ঘুম আসে না। এইতো সেইদিনের কথা, ভূমিকম্পের কম্পন শেষ হতে না হতেই তোমার ফোন, “বাবা, তুই ঠিক আছিস তো?”। পৃথিবীতে এমন কোনো উদাহরণ পাওয়া যাবে না যার সঙ্গে মায়ের ভালোবাসার তুলনা করা যায়। হয়তো বা এটি সৃষ্টিকর্তার শ্রেষ্ঠত্বের এক প্রমাণ। ভাত মেখে খাওয়ার মত যথেষ্ট বয়স আমার হয়েছে মা, কিন্তু তুমি মাখিয়ে দিলে ভাতগুলো যেন অমৃতের স্বাদ লাভ করে। আমার জামা-কাপড়গুলো আমিই পরিষ্কার করতে পারি মা, কিন্তু তোমার ভরসায় রেখে দিতে ইচ্ছে করে শুধু শরীর থেকে তোমার ছোঁয়া হারাতে চাইনা বলে। আমার সামান্য অসুস্থতার সময় কত অশ্রু যে তোমার চোখ থেকে অঝরে পড়তে দেখেছি, তা একমাত্র বিশ্ববিধাতাই জানেন । মা এমন একজন মানুষ, যাকে ছাড়া নিজের অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় না। আমি গায়ে, গঠনে ও চিন্তা ভাবনায় অনেক বড় হয়েছি, কিন্তু আমি এখনও তোমার সেই ছোট্ট খোকাটিই আছি মা। তোমাকে কতটা ভালবাসি, কখনো বলিনি। কেন জানি বলতে পারিনা, লজ্জা করে কি? হয়ত! হয়তবা না। কিছু কথা কখনোই বলার প্রয়োজন হয় না। আবার হয়ত “অতিরিক্ত সত্য” বলেই বলা হয়না। তবে অাজ অামি ঠিকই বলব, এ জীবন নাহলে ব্যর্থই থেকে যাবে, “মা, আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি”।
মিষ্টার হোসেন
ইংরেজি বিভাগ
রাজশাহী কলেজ, রাজশাহী।