আলোর সন্ধানে’র উদ্যোগে বড় মহেশপুর আদিবাসী বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে টিন বিতরণ
|নওগাঁর মহাদেবপুর বড় মহেশপুর আদিবাসী বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে টিন বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে। নওগাঁর ছাত্র সংগঠন আলোর সন্ধানে নওগাঁর উদ্যোগের ১৮ জানুয়ারি বেলা ১১টায় বড় মহেশপুর আদিবাসী বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে টিন বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। টিন বিতরণ কার্যক্রম এ উপস্থিত ছিলেন বড় মহেশপুর আদিবাসী বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি শ্রী রামপ্রসাদ পাহান, সহ-সভাপতি আবু হাসান হাসু, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হীরা লালা পাহান, সুশীল চন্দ্র পাহান, সুনীতি রাণী মন্ডল, আলোর সন্ধানের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মো. আরমান হোসেন, আলোর সন্ধানে সান্তাহারের সভাপতি আশিকুর রহমান, সহ-সভাপতি আশিক হোসেন, সহ-সম্পাদক মো. সানোয়ার হোসেন, সদস্য শ্রী পল্লব কুমার, আলোর সন্ধানে বদলগাছীর তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবু মুসা।
১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষকরা সরকারি কোনো সাহায্য সহযোগিতা ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার আলো জ্বালানোর মহান কাজ করে আসছেন। স্থানীয় সুহৃদ মানুষ এবং শিক্ষকদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় নতুন ভবনের কাজ শুরু হলেও অর্থের অভাবে বিদ্যালয়ের ছাউনি দেওয়া সম্ভব হচ্ছিলো না। তাই ছাত্র সংগঠন আলোর সন্ধানে বিদ্যালয়ে ২ ব্যান্ডেল টিন প্রদান করে সহযোগিতা করে। পূর্বে স্থানীয় সাংসদ ৪ ব্যান্ডেল টিন প্রদান করেন।
বড় মহেশপুর আদিবাসী বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সভাপতি শ্রী রামপ্রসাদ পাহান ও এলাকাবাসী স্কুলটি সরকারিকরণের জন্য জোড় দাবি জানান। সমাজে শ্রেণী বৈষম্য দূরীকরণে এবং শিক্ষা প্রসারে সরকারে উচিতে এই শিক্ষা প্রকিষ্ঠানটিকে সরকারি করা। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে সর্বমোট ১৫০ জন শিক্ষার্থী শিক্ষা গ্রহন করে। সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় যে স্বপ্নের স্কুল তাঁরা গড়তে চলেছেন তাঁর ছাউনির জন্য টিন কেনার অর্থও নেই। অর্থের অভাবে থেমে আছে নতুন ভবনের কাজ। নতুন ভবনের ছাউনির জন্য এখনো প্রায় ২০ ব্যান্ডেল টিনের প্রয়োজন। তাই বড় মহেশপুর বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারি করণ, বেতনভাতাদিসহ সকল সুবিধাদি প্রদানে সরকার এগিয়ে আসা আশু প্রয়োজন।